জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার তিনজন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে সরকারি চাকরিতে থেকে রাজনৈতিক পদে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
আইন অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীদের কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত থাকা নিষিদ্ধ হলেও তারা দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন—
নূরে আলম মনি, প্রভাষক, ইসলামপুর সরকারি কলেজ; পদবি: উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি
আবির হোসেন বিপুল, সহকারী শিক্ষক, মালমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; পদবি: উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক
হাফিজুর রহমান, লাইব্রেরিয়ান, ইসলামপুর সরকারি কলেজ; পদবি: উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক
সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারেন না, কোনো রাজনৈতিক দলের পদেও থাকতে পারেন না। এই নিয়মের সরাসরি লঙ্ঘন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন বিশেষজ্ঞরা।
ইসলামপুর সরকারি কলেজের লাইব্রেরিয়ান ও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রহমান বলেন,
“আমি ৪০ বছর ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তাতে কোনোদিন সমস্যা হয়নি। দেশে বড় বড় কর্মকর্তারাও রাজনীতি করেন, তাদের তো কিছু হয় না।”
এ বিষয়ে ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নবাব বলেন,
“আমাদের কমিটি ঘোষণার সময় তারা সরকারি চাকরিজীবী তা জানা ছিল না। বিষয়টি যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সরকারি চাকরিতে থেকে রাজনৈতিক দলে সক্রিয় থাকা কেবল আচরণবিধি লঙ্ঘন নয়, এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধও হতে পারে। প্রশাসনিকভাবে বিষয়টি তদন্ত করা হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব।
এই ঘটনা সামনে আসার পর স্থানীয় পর্যায়ে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে।


