ইসরাইলে হামলা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতা আবদুল মালিক আল-হুথি। একইসঙ্গে তিনি লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে ইসরাইল এবং তার সহযোগী বাণিজ্যিক জাহাজের ওপরও হামলা বন্ধের নির্দেশ দেন।
রুশ সংবাদ সংস্থা তাসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে হুথি আন্দোলনের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র। সূত্রটি জানায়, ইয়েমেনি নেতার এই নির্দেশের শর্ত হলো— ইসরাইলকে অবশ্যই গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পূর্ণভাবে মেনে চলতে হবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, “গাজা যুদ্ধের সক্রিয় পর্যায় শেষ হওয়ায় ইসরাইল ও এর সহযোগী বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর বিরুদ্ধে সব ধরনের সামরিক অভিযান স্থগিত করা হয়েছে।” এছাড়া আবদুল মালিক আল-হুথি ইসরাইল যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তগুলো মেনে চলছে কিনা তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন। ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইয়েমেনের পরবর্তী পদক্ষেপ এটির ওপর নির্ভর করবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, প্রায় দুই বছর ধরে চলা গাজা যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে গত মাসের শেষের দিকে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এর সপ্তাহখানেক পর গত ২৯ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক শেষে ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন ট্রাম্প। এরপর ওই প্রস্তাবের আলোকে গত সোমবার (৬ অক্টোবর) মিশরের শারম আল–শেখে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরাইলের প্রতিনিধিদের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা শুরু হয়।
টানা তিন দিনের আলোচনার পর বুধবার (৮ অক্টোবর) দিবাগত রাতে দুই পক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি প্রস্তাবের প্রথম ধাপ মেনে নেয়। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) আনুষ্ঠানিকভাবে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি অনুমোদন করে ইসরাইলি সরকার। একইদিন গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় এবং সেনা প্রত্যাহার শুরু হয় বলে জানায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ)।


