শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৪৫ অপরাহ্ন
ব্রেকিংনিউজ-
ইসকন ‘ভারতের র’র কর্মকাণ্ডে জড়িত’: অভিযোগ সিএইচটি সম্প্রীতি জোটের বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের তালিকায় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম বিএনপি-জামায়াতের চোখে বিতর্কিত অন্তর্বর্তী সরকার উপদেষ্টারা গাজীপুরে নিখোঁজ ইমাম মুফতি মুহিব্বুল্লাহ মাদানী পরিবারের হাতে ফিরেছেন কর্যক্রম নিষিদ্ধ আ’লীগকে নির্বাচনে নিতে বিদেশি চাপ বারছে: প্রেস সচিব ভোটকেন্দ্রে ‘প্রথম প্রতিরক্ষা স্তর’ হবেন ৬ লাখ আনসার সদস্য: ডিজি সাজ্জাদ মানবতাবিরোধী মামলার ১৫ সেনা কর্মকর্তা কারাগারে: প্রথম দিন কেমন কাটল দাঁড়িয়ে থাকা বাসের পেছনে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ২, আহত ৫ যে আসনে বিজয়ী প্রার্থীর দল সরকার গঠন করে: সিলেট-১ আসনে উত্তাপ বাড়ছে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে চোটে জর্জরিত দক্ষিণ আফ্রিকা
Headline
Wellcome to our website...
রাবি ছাত্রলীগকর্মী হত্যা মামলায় জামায়াত-শিবিরের সব আসামি খালাস
প্রকাশ কাল | রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৫, ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন
রাবি হত্যা মামলা, ফারুক হোসেন, ছাত্রলীগ, জামায়াত, ছাত্রশিবির, রাজশাহী আদালত, মতিহার থানা, বেকসুর খালাস, রায় ঘোষণা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ফাইল ছবি | সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রলীগকর্মী ফারুক হোসেন হত্যা মামলায় জামায়াত ও শিবিরের সব আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। রোববার দুপুর ২টার দিকে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক জুলফিকার উল্লাহ এই আলোচিত মামলার রায় ঘোষণা করেন।
এ মামলায় জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন কেন্দ্রীয় আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, রাজশাহী মহানগরের তৎকালীন আমির আতাউর রহমানসহ মোট ১১৪ জন আসামি ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আলী আশরাফ মাসুম জানান, সাক্ষ্য-প্রমাণে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত সবাইকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ১১৪ জন আসামির মধ্যে ৯ জন ইতোমধ্যে মারা গেছেন এবং ১০৫ জন জীবিত রয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় ২৫ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন, বাকিরা অনুপস্থিত ছিলেন।
২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হল দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের সংঘর্ষে গণিত বিভাগের ছাত্র ও ছাত্রলীগকর্মী ফারুক হোসেন নিহত হন। তার লাশ পরে একটি ম্যানহোলে পাওয়া যায়।
ঘটনার পরদিন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম অপু বাদী হয়ে ৩৫ জন জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করে মতিহার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ২৮ জুলাই পুলিশ ১ হাজার ২৬৯ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে, যেখানে জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতা ছাড়াও রাবি ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সভাপতি শামসুল আলম গোলাপ, সম্পাদক মোবারক হোসেন, নবাব আব্দুল লতিফ হলের সভাপতি হাসমত আলী এবং শহীদ হবিবুর রহমান হলের সভাপতি রাইজুল ইসলামসহ মোট ১১৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
দীর্ঘ ১৫ বছর পর আজ অবশেষে আদালতের রায়ে সকল আসামি খালাস পান। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আলী আশরাফ মাসুম বলেন, “রায়ে খুশি-অখুশি এখনই বলা যাবে না। রায়টি আগে পর্যালোচনা করতে হবে। তবে মামলাটি করার সময় প্রকৃত আসামিদের আড়াল করে রাজনৈতিক কারণে অন্যদের আসামি করা হয়েছিল বলে আমাদের ধারণা।”

এই পাতার আরো খবর
Our Like Page