চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বুধবার (১৫ অক্টোবর)। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদ ভবনে একযোগে চলবে ভোটগ্রহণ। তফশিল ঘোষণার পর থেকে প্রার্থীরা শাটল ট্রেন, একাডেমিক ভবন, আবাসিক হল ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় এখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে পুরো ক্যাম্পাসে।
নির্বাচন উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সেজেছে পোস্টার, লিফলেট, ব্যানার ও ইশতেহারে। এ নির্বাচনে মোট ভোটার ২৭ হাজার ৫১৭ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১৬ হাজার ৮৪ জন এবং ছাত্রী ১১ হাজার ৪৩৪ জন।
চাকসু ও হল সংসদ মিলিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯০৮ প্রার্থী। এরমধ্যে, চাকসুতে ২৬টি পদে ৪১৫ জন এবং হল সংসদে ৪৯৩ প্রার্থী রয়েছেন। কেন্দ্রীয় সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৮ জন নারী প্রার্থী ও ৩৬৬ জন পুরুষ প্রার্থী। এছাড়া, ২৪ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
চাকসুতে ভিপি পদে ২৪ জন, জিএস পদে ২২ জন এবং এজিএস পদে ২১ জন প্রার্থী লড়ছেন। হল সংসদ নির্বাচনে ছাত্রদের ৯টি হল ও একটি হোস্টেল থেকে মোট ৩৫০ জন এবং ছাত্রীদের ৫টি হল থেকে ১২৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রত্যাশিত এই নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
এর আগে, ১৯৮৬ সাল থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল ইসলামী ছাত্র শিবিরের একক আধিপত্য। ১৯৮১ সালের চতুর্থ চাকসু নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় ছাত্র শিবির। পরবর্তীতে ১৯৯০ সালের নির্বাচনে শিবিরের প্রভাব ভাঙতে সর্বদলীয় ঐক্য গঠন করে ১২টি ছাত্র সংগঠন। তারা জয়ী হয় বেশিরভাগ পদে। এরপর দীর্ঘ ৩৫ বছর কোনো চাকসু নির্বাচন হয়নি।


