জুলাই সনদের কোনো আইনি ভিত্তি না থাকলে এটি জনগণের সঙ্গে প্রতারণা হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, শুধু রাজনৈতিক সমঝোতার নামে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যায় না; এই সনদের সংবিধানগত বা আইনি বৈধতা নিশ্চিত না হলে এটি টিকবে না।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর বাংলামোটরের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। নাহিদ ইসলাম বলেন,
“জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি থাকতে হবে। জনগণের আশা নিয়ে ছিনিমিনি খেলা যাবে না। আইনি কাঠামো ছাড়া এই সনদ কেবল লোক দেখানো চুক্তিতে পরিণত হবে—এটি জুলাইয়ের চেতনাবিরোধী ও জনগণের সঙ্গে প্রতারণা।”
তিনি অভিযোগ করেন, বিগত ফ্যাসিবাদী কাঠামোর সুবিধাভোগীরা এখনো বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। নাহিদ ইসলাম বলেন,
“কিছু রাজনৈতিক দল ক্ষমতার সমীকরণে সমঝোতা করেছে, কিন্তু এনসিপি কোনো বেআইনি বা অগণতান্ত্রিক সমঝোতার অংশ নয়। জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করেও এনসিপি রাজনীতি থেকে ছিটকে যায়নি। বরং যারা গতকালের অনুষ্ঠানে গেছে তারা গণ-অভ্যুত্থান ও জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের বক্তব্যের প্রতিবাদও করেন নাহিদ ইসলাম। সালাহউদ্দিন তাঁর মন্তব্যে ‘জুলাই যোদ্ধাদের আওয়ামী ফ্যাসিস্ট’ বলে উল্লেখ করায় নাহিদ ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
“এ বক্তব্য রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত। তিনি তাঁর এই বক্তব্য প্রত্যাহার করে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইবেন—এটাই আমরা আশা করি।”
ঐক্যমত কমিশনের আলোচনায় অংশ নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন:
“ঐক্যমত কমিশন যদি আমাদের আলোচনায় ডাকেন—এনসিপি অবশ্যই সাড়া দেবে। তবে নোট অব ডিসেন্ট (ভিন্নমত) এর সঙ্গে জুলাই সনদের কোনো সম্পর্ক নেই।”
এ সময় প্রতীক ইস্যুতে নাহিদ ইসলাম জানান, শাপলা হবে এনসিপির নির্বাচনী প্রতীক। তিনি বলেন,
“শাপলাই হবে এনসিপির মার্কা। এই প্রতীক নিয়েই আমরা আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেব।”


