শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ১১:১৮ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিংনিউজ-
আইজিপির বাহারুল আলমের সঙ্গে মার্কিন দূতের সাক্ষাৎ প্রলোভনে পড়া মুসলিম তরুণ-তরুণীর দায় শুধু প্রলোভনকারীর নয় শায়খ আহমাদুল্লাহ: ধর্ষণের ঘটনা ‘প্রেম’ বলে হালকা করা দুর্ভাগ্যজনক ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধসহ অতীতের ভুলের জন্য বিনা শর্তে ক্ষমা চাইল জামায়াতের আমির মানবতাবিরোধী অপরাধে হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলার বিচার এনসিপি ও জামায়াতকে প্রধান উপদেষ্টার আশ্বস্ত: নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি প্রধান উপদেষ্টার কাছে বিসিএস নিয়োগে ৪ দফা দাবি পেশ করেছে এনসিপি মুশফিকুল ফজল আনসারীকে নিয়ে ন্যান্সির আবেগঘন স্ট্যাটাস ভাইরাল প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসের সঙ্গে জার্মান রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ তত্ত্বাবধায়ক ফিরলে সংসদের ক্ষমতা খর্ব হবে কি না—আদালতে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন
Headline
Wellcome to our website...
তিনের শর্ত মেনে জেলেনস্কিকে যুদ্ধ শেষ করতে বললেন ট্রাম্প
প্রকাশ কাল | সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৩৯ পূর্বাহ্ন
ট্রাম্প, জেলেনস্কি, পুতিন, ইউক্রেন যুদ্ধ, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত, ডোনাল্ড ট্রাম্প সংবাদ, ফিন্যান্সিয়াল টাইমস, দোনবাস
সংগৃহীত ছবি

ইউক্রেন–রাশিয়ার চলমান যুদ্ধ থামাতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শর্ত মেনে নিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে সরাসরি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুদ্ধবিরতি নয় বরং আলোচনার মাধ্যমে সংঘাতের ইতি টানতে ট্রাম্প জেলেনস্কিকে ‘সমঝোতার পথে হাঁটার’ পরামর্শ দিয়েছেন বলে ব্রিটিশ দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময় দুই নেতার মধ্যে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক একাধিকবার উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে রূপ নেয়। বৈঠকে চিৎকার-চেঁচামেচি পর্যন্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে আলোচনায় যুক্ত কর্মকর্তাদের বরাতে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস। ট্রাম্প নাকি জেলেনস্কিকে সতর্ক করে বলেছেন—

“আপনি যদি আপস করতে অস্বীকৃতি জানান, তাহলে রাশিয়া ইউক্রেনকে ধ্বংস করে দেবে।”

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বৈঠকে ট্রাম্প একাধিকবার পুতিনের বক্তব্য তুলে ধরে জেলেনস্কিকে পূর্ব ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চল রাশিয়ার কাছে ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছেন। ট্রাম্পের দাবি, এই ছাড় দিলে যুদ্ধ দ্রুত থামানো সম্ভব।

এক ইউরোপীয় এক কর্মকর্তা ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন—

“ট্রাম্প বারবার বলেছেন, পুতিন এই সংঘাতকে কোনো যুদ্ধ মনে করেন না, এটি তার জন্য শুধু একটি বিশেষ সামরিক অভিযান।”

এমনকি এক পর্যায়ে ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধের মানচিত্র দেখে বিরক্ত হয়ে তা একপাশে সরিয়ে রেখে বলেন—

“এই রেড লাইনগুলো কোথায় আমি জানি না, আমি কখনো ওগুলো দেখি না।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকে ইউক্রেন নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছেন। তাঁর সাম্প্রতিক বক্তব্য ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যেও উদ্বেগ বাড়িয়েছে।

যুদ্ধ শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়ে এলেও ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর সেই সহায়তা সংকুচিত হতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকেই।

এ বিষয়ে এখনো রাশিয়া বা ইউক্রেনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ট্রাম্পের এই বক্তব্য নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

এই পাতার আরো খবর
Our Like Page