৪৩তম বিসিএসের পূর্ণাঙ্গ নন-ক্যাডার তালিকা প্রকাশ এবং অধিযাচিত শূন্য পদে দ্রুত সুপারিশের দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন নন-ক্যাডার চাকরি প্রত্যাশীরা। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভকারীরা এ সময় স্লোগান দেন—“৪৩ এর নন ক্যাডার দিতে হবে সার্কুলার”, “বৈষম্য মানি না, মানব না”, “সিন্ডিকেট নিপাত যাক, মেধাবীর মুক্তি পাক” ইত্যাদি।
দুই দফা দাবি
নন-ক্যাডার প্রার্থীরা তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন:
৪৩তম বিসিএসের পূর্ণাঙ্গ নন-ক্যাডার তালিকা অবিলম্বে প্রকাশ করতে হবে
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রেরিত অধিযাচিত শূন্য পদসমূহে দ্রুত সুপারিশ করতে হবে
কর্মসূচির সমন্বয়ক মো. রানা আহমেদ বলেন,
“দীর্ঘদিন ধরে মানববন্ধন, স্মারকলিপি ও অনশন করেও আমরা ন্যায্য অধিকার পাইনি। দ্রুত নিয়োগ হলে সরকারের শূন্যপদ সংকটও কমবে এবং সময় ও ব্যয় সাশ্রয় হবে।”
প্রেক্ষাপট
৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অনেক প্রার্থী ক্যাডার না পেয়ে নন-ক্যাডার তালিকায় অপেক্ষমাণ রয়েছেন। পিএসসি জানিয়েছিল, শূন্য পদ অধিযাচন এলে সুপারিশ করা হবে। পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ৯ হাজারের বেশি শূন্য পদ পাঠানো হলেও পিএসসি ২০২৩ সালের নন-ক্যাডার বিধিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নিয়ে সুপারিশ প্রক্রিয়া আটকে দেয়, যা প্রার্থীরা “দ্বিচারিতা” বলে অভিযোগ করেছেন।
প্রার্থীরা জানান, হাইকোর্ট ৪৩তম বিসিএসের পূর্ণাঙ্গ নন-ক্যাডার তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিলেও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না, অথচ ৪৪তম বিসিএসের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
এ ছাড়া তারা অভিযোগ করেন, ‘নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) (সংশোধন) বিধিমালা, ২০২৫’ প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ে ঝুলে আছে তিন মাস ধরে, কিন্তু গেজেট প্রকাশ করা হয়নি। অনেকে অভিযোগ করেন, শূন্য পদগুলো নন-ক্যাডার থেকে সরিয়ে নতুন সার্কুলারের মাধ্যমে নিয়োগের চেষ্টা চলছে।


