সরকারি চাকরি প্রত্যাশীদের স্বার্থ সুরক্ষায় বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) ব্যবস্থা পুনর্গঠন ও নন-ক্যাডার নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্নের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে ৪ দফা দাবি পেশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বুধবার (২২ অক্টোবর) রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে এনসিপির প্রতিনিধিদল এ দাবি তুলে ধরে।
বুধবার দিবাগত রাতে এনসিপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বর্তমান বিসিএস নিয়োগ ব্যবস্থায় নন-ক্যাডার পদে দীর্ঘসূত্রতা ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় চাকরি প্রত্যাশীদের ন্যায়সংগত অধিকার প্রতিষ্ঠা জরুরি হয়ে পড়েছে।
এনসিপি যে ৪ দফা দাবি প্রধান উপদেষ্টার কাছে পেশ করেছে:
‘নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) (সংশোধন) বিধিমালা, ২০২৫’ দ্রুত প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন ও স্বাক্ষরের মাধ্যমে গেজেট আকারে প্রকাশ করতে হবে, যাতে নন-ক্যাডার নিয়োগ প্রক্রিয়া গতি পায়।
২০২৩ সালের নন-ক্যাডার বিধির সংশোধন প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করে চলমান ৪৪তম, ৪৫তম, ৪৬তম ও ৪৭তম বিসিএস থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রার্থীকে নন-ক্যাডার পদে সুপারিশ করতে হবে।
৪৪তম বিসিএস পুনর্মূল্যায়ন বিধি দ্রুত সংশোধন ও গেজেট প্রকাশ করে নিয়োগপ্রাপ্তদের অনিশ্চয়তা দূর করতে হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করে পিএসসিকে সুপারিশ পাঠানোর নির্দেশ দিতে হবে।
এনসিপি তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশের তারুণ্যের শক্তিকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হলে চাকরিক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করা জরুরি। বিবৃতিতে বলা হয়, “গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা তারুণ্যনির্ভর রাজনৈতিক দল হিসেবে এনসিপি সবসময় ন্যায্য নিয়োগ ব্যবস্থার পক্ষে। পরীক্ষার্থীদের ন্যায়সংগত অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমরা সচেষ্ট।”
চাকরি প্রত্যাশীদের যুক্তিসঙ্গত দাবিকে সমর্থন জানিয়ে এনসিপি আরও জানায়, তরুণ প্রজন্ম রাষ্ট্রগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম, তাই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিলম্ব ও বৈষম্য কোনোভাবেই কাম্য নয়।
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য না করলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো বিষয়টি নজরে নিয়েছে বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়।


