জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি এবার আলোচনায় এসেছেন এক আবেগঘন স্ট্যাটাসের জন্য। মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীকে নিয়ে তিনি নিজের ব্যক্তিগত অনুভূতি প্রকাশ করে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন, যা এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে।
২১ অক্টোবর রাত ৯টায় নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রদূতের একটি ছবি সংযুক্ত করে ন্যান্সি লেখেন—
“কিছু মানুষ আছেন, যাদের কথা ভাবলেই হৃদয়ে শ্রদ্ধা ও প্রেরণার ঢেউ জাগে। মুশফিকুল ফজল আনসারী ভাই আমার কাছে তেমনই একজন মানুষ…”
তিনি লেখেন, আনসারীর জীবন ও কর্মজীবন সংগ্রাম, সততা ও নীতিবোধের এক উজ্জ্বল উদাহরণ। সাংবাদিকতা দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করে তিনি বেগম খালেদা জিয়ার উপ-প্রেস সচিবের দায়িত্ব পালন করেন এবং পরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের কূটনৈতিক প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন।
ন্যান্সির দীর্ঘ স্ট্যাটাসে উঠে আসে মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাংবাদিকতা জীবনের ঝুঁকিপূর্ণ সময়ের কথাও। তিনি লেখেন—
“যে সময়ে অনেকে নিরাপদ থাকতে চেয়েছেন, সেই সময়ে তিনি জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে স্বৈরশাসনের মুখোশ উন্মোচন করেছেন।”
তার ভাষ্য অনুযায়ী, মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রশ্নে কখনও আপস করেননি আনসারী। ন্যান্সি উল্লেখ করেন, সত্য বলার কারণে তাকে পরিবারসহ বিদেশে নির্বাসিত জীবনযাপন করতে হয়েছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি পিছপা হননি।
স্ট্যাটাসে ন্যান্সি আরও লিখেছেন—
“তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রদূতই নন; তিনি একজন যোদ্ধা, নীতিবান মানুষ এবং প্রেরণার আলোকবর্তিকা।”
এই পোস্ট প্রকাশের পর সামাজিকমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া পড়ে। অনেকে ন্যান্সির বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে মন্তব্য করেছেন। কেউ কেউ লিখেছেন— “এমন মানুষকেই আদর্শ বলা যায়,” আবার কেউ লিখেছেন— “মুশফিকুল ফজল আনসারীর অবদান দেশবাসীর জানা উচিত।”
ফেসবুকে পোস্টটি মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়েছে এবং ইতোমধ্যে কয়েক হাজার লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার হয়েছে। অনেকেই মন্তব্য করেছেন— ন্যান্সি সাধারণত খুব কম মানুষের প্রশংসা করেন, তাই এই স্ট্যাটাস বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
ন্যান্সি তার পোস্টের শেষে লেখেন—
“ভাই, আপনার প্রতি রইলো আমার গভীর শ্রদ্ধা ও শুভকামনা।”


