গাজীপুরে ১৩ বছর বয়সি এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রখ্যাত ইসলামি চিন্তাবিদ ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ। তিনি অভিযোগ করেছেন, এ ঘটনাটিকে ‘প্রেমের সম্পর্ক’ হিসেবে দেখিয়ে প্রশাসন বিষয়টিকে হালকা করার চেষ্টা করছে, যা দুঃখজনক।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত পোস্টে বলেন, “প্রচলিত আইনে ১৬ বছরের কম বয়সি মেয়েদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক হলে তার সম্মতি থাকুক বা না থাকুক, সেটি ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হয়। এরপরও প্রশাসন বিষয়টিকে হালকা করার চেষ্টা করছে, কেন?”
তিনি আরও বলেন, “একটি সংঘবদ্ধ চক্র তথাকথিত প্রেমের ফাঁদে ফেলে মুসলিম মেয়েদের ধর্ষণ করছে। দীর্ঘদিন ধরে এমন অভিযোগ থাকলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সম্প্রতি বুয়েটের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধেও একটি মুসলিম ছাত্রীকে অজ্ঞান করে ধর্ষণের প্রমাণযোগ্য অভিযোগ উঠেছে।”
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, “তথাকথিত প্রেমের ফাঁদে সংঘটিত ধর্ষণের ঘটনাগুলোতে যদি সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্য বা উগ্রবাদী মনোভাব থাকে, তাহলে তা দেশের শান্তি ও শৃঙ্খলার জন্য গুরুতর হুমকি।”
তিনি বুয়েটের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনের পাশে আছি। অভিযুক্ত ধর্ষকের ছাত্রত্ব বাতিল ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছি। একইসঙ্গে গাজীপুরের ঘটনাটিও তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”
শায়খ আহমাদুল্লাহ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং পুনরায় কোনো সাম্প্রদায়িক বা উগ্রমুখী উদ্দেশ্যভিত্তিক অপরাধের সুযোগ দেওয়া যাবে না।


