জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী পদত্যাগ করেছেন— এমন গুঞ্জনকে ভিত্তিহীন ও মনগড়া বলে দাবি করেছে দলটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কয়েকটি অনলাইন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দলীয় সূত্রের বরাত দিয়ে পাটোয়ারীর পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে বলা হয়, দুই সপ্তাহ আগে তিনি দলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তবে এখনো তা আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করা হয়নি।
এ বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে লিখেছেন:
“এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী পদত্যাগ করেননি। এটি সম্পূর্ণ গুজব।”
একই বক্তব্য দিয়েছেন দলের যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন:
“এই সংবাদটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।”
এদিকে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ রাতেই এক ফেসবুক পোস্টে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন:
“কনফার্ম করছি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারীর পদত্যাগের যে সংবাদ ছড়ানো হচ্ছে, তা গুজব ছাড়া আর কিছুই না। এমন অসত্য ও ভিত্তিহীন খবরের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”
এ বিষয়ে নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারীর নিজস্ব কোনো বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি। তবে এনসিপির শীর্ষ নেতাদের দাবি— দলের অভ্যন্তরে কোনো বিভাজন নেই, বরং সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে দল এগিয়ে যাচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটি অংশ মনে করছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিয়ে নানা প্রচারণা ও গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এনসিপি বর্তমানে জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় অবস্থান নেওয়ায় এটি রাজনৈতিক অপপ্রচারের অংশ হতে পারে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনসিপির দপ্তর শাখার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান— “দলীয় অবস্থান স্পষ্ট, মুখ্য সমন্বয়ক কোনোভাবেই পদত্যাগ করেননি। ভুয়া সংবাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।”


