নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট চাই: সিরাজগঞ্জে রফিকুল ইসলাম খানের হুঁশিয়ারি

জুলাই বিপ্লবের আইনি ভিত্তি দিতে নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, “গণভোট ছাড়া বর্তমান রাজনৈতিক উত্তরের সমাধান সম্ভব নয়। জনগণের সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।”

শনিবার দিনব্যাপী সিরাজগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত জেলা জামায়াতের ষান্মাসিক রুকন (সদস্য) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ

তার বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন,

“বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দেশে সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে জামায়াতের নেতাকর্মীরা। ইসলামপন্থি রাজনীতি ও জামায়াতকে দেশ থেকে উৎখাত করার জন্যই খুন, গুম, মিথ্যা মামলা ও বিচারবহির্ভূত হত্যার রাজত্ব কায়েম করা হয়েছিল।”

তিনি আরও বলেন,

“মিথ্যা অপবাদ ও সাজানো মামলায় জামায়াতের নিরাপরাধ নেতাদের বিচারিক হত্যাকাণ্ডের শিকার করা হয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশ কলঙ্কিত হয়েছে। বিচারিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত বিচারক, সাক্ষী ও হুকুমদাতাদের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার করতে হবে।”

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ও প্রশাসন নিরপেক্ষতার দাবি

রফিকুল ইসলাম খান বলেন,

“লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছাড়া সুষ্ঠু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। প্রশাসনকে দলীয়করণমুক্ত করতে হবে। প্রশাসন রাষ্ট্রের—কোনো দলের নয়।”

তিনি আরও দাবি করেন,

“যারা এতদিন দেশ শাসন করেছে, তাদের একজন অন্যায়ের কারণে বিতাড়িত, আরেক দলের দুর্নীতি ও চাঁদাবাজিতে মানুষ অতিষ্ঠ। তাই আজ জনগণ বলছে— ‘সব দল দেখা শেষ, এবার জামায়াতের বাংলাদেশ।’”

“রাজা হবো না, কাউকে প্রজা বানাবো না”

তিনি বলেন,

“জনগণ যদি আমাদের সুযোগ দেয়, আমরা রাজা হবো না, কাউকে প্রজা বানাবো না। ইসলামের নীতিতে অমুসলিম নাগরিকরাও সমান অধিকার ভোগ করবে। আমরা চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই।”

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের প্রার্থী মাওলানা শাহিনুর আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন:

কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের প্রার্থী শায়খ ড. আব্দুস সামাদ

পাবনা জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল

জেলা নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ আলী আলম ও মাওলানা আব্দুস সালাম

অনুষ্ঠানে প্রায় ১ হাজার ৭৫০ জন রুকন উপস্থিত ছিলেন। পরিচালনা করেন জেলা সেক্রেটারি ও সিরাজগঞ্জ-২ আসনের প্রার্থী প্রভাষক জাহিদুল ইসলাম।