ঢাকা: দক্ষ আইসিটি জনশক্তি গড়ে তোলা এবং বাংলাদেশ-জাপান প্রযুক্তি সহযোগিতা আরও জোরদার করার লক্ষ্যে ঢাকার আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে বি-টপসি (বাংলাদেশ টপ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার) সেমিনার। শনিবার (২৬ অক্টোবর ২০২৫) জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি—জাইকার উদ্যোগে এবং বিসিসি (বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল) ও বেসিস (বাংলাদেশ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশন)-এর সহযোগিতায় এ সেমিনারটি আয়োজন করা হয়।
এ সেমিনারটি জাইকা-বিসিসি-বেসিস টিসিপি’র “প্রজেক্ট ফর আইসিটি ইঞ্জিনিয়ার্স ডেভেলপমেন্ট ফর দ্য প্রোমোশন অব দ্য আইসিটি ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড নিউ ইনোভেশনস” প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত হয়। মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের সফটওয়্যার আর্কিটেক্ট এবং দক্ষ আইসিটি পেশাজীবী তৈরি করা।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন জাপানের তিনজন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ—
ড. হোনিদেন শিনইচি, প্রতিষ্ঠাতা, টপসি প্রোগ্রাম ও অধ্যাপক, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনফরম্যাটিক্স (NII)
ড. তেই কেনজি, সহযোগী অধ্যাপক, টোকিও ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স
ড. দোই তাকুও, বিশেষভাবে নিযুক্ত সহযোগী অধ্যাপক, এনআইআই, জাপান
বাংলাদেশ সফরে এসে তারা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং দক্ষতা উন্নয়ন, জাপানি আইটি ইন্ডাস্ট্রিতে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ এবং বিটপসি প্রোগ্রামের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাইকার প্রধান উপদেষ্টা শোজি আকিহিরো। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, এনডিসি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাইকার বাংলাদেশ প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহিদে এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপান দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন তাকাহাশি নাওকি।
কারিগরি অংশীদার প্রতিষ্ঠান বিডি-আইটেক এর পরিচালক ও টিসিপি প্রকল্প পরিচালক মো. গোলাম সারোয়ার সমাপনী বক্তব্যে বলেন,
“বি-টপসি বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় শিক্ষা-প্রযুক্তি মডেল। এটি দেশের আইসিটি সেক্টরে টেকসই উন্নয়নের পথ খুলে দেবে।”


