দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার পর অবশেষে হাতিয়াকে উপকূলীয় নদীবন্দর হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে হাতিয়ার নলচিরা নৌঘাট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, ডিসেম্বরে ফেরি চলাচল শুরু হবে।
ড. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “সরকার এ বছর হাতিয়াকে নদীবন্দর হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং এর গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে নদীবন্দর উদ্বোধন করা হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “হাতিয়ার মানুষ যুগ যুগ ধরে ট্রলার, সিট্রাক ও স্পিডবোটে চলাচল করছে। ফেরি ও নদীবন্দর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। ডিসেম্বরের মধ্যেই ফেরি চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে এবং পরীক্ষামূলকভাবে নদীবন্দর কার্যক্রম শুরু হবে।”
নৌ উপদেষ্টা স্থানীয়দের অভিযোগও শোনেন। স্থানীয়রা ইজারাদারদের জুলুম, হয়রানি ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। ড. সাখাওয়াত হোসেন জানান, অভিযোগ প্রমাণিত হলে ইজারা বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “এত সরকার এসেছে, গেছে, কিন্তু হাতিয়াকে নদীবন্দর ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি। বর্তমান সরকার জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়নে কাজ করছে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, বিআইডব্লিউটিসি চেয়ারম্যান মো. সলিম উল্লাহ, হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষক এবং স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
হাতিয়ার নদীবন্দর ঘোষণার ফলে এখানকার মানুষ নৌপথে সহজ ও নিরাপদ যাতায়াত করতে পারবে। বিশেষ করে সাপ্তাহিক বাজার, শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবা গ্রহণে ফেরি সুবিধা স্থানীয়দের জীবনযাত্রাকে স্বস্তিদায়ক করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ডিসেম্বরে ফেরি চলাচল শুরু হলে হাতিয়ার সঙ্গে মূল দেশের যোগাযোগ আরও দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য হবে, যা দ্বীপ উপজেলার অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।


