বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:১৭ অপরাহ্ন
ব্রেকিংনিউজ-
রূপগঞ্জে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নিয়ন্ত্রণে গাজী বাহিনীর দাপট রূপগঞ্জে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত নির্বাচন বানচালে হঠাৎ আক্রমণ আসার আশঙ্কা প্রধান উপদেষ্টার নোয়াখালীর সুবর্ণচরে যুবদলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ডেঙ্গু আক্রান্তে মারা গেলেন বিশ্বজয়ী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী ভিয়েতনামে ২৪ ঘণ্টায় ১,০৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিতে মধ্যাঞ্চল প্লাবিত আইয়ুব বাচ্চুর গান গেয়ে ভাইরাল সালমান শাহ হত্যার আসামি খল-অভিনেতা ডন ভুয়া কোম্পানি খুলে ১৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ ও বিদেশে পাচার: সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর প্রধানমন্ত্রীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করল ভেনেজুয়েলা মালয়েশিয়ায় নতুন কর্মী পাঠাতে কড়াকড়ি শর্ত ঘোষণা
Headline
Wellcome to our website...
রূপগঞ্জে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নিয়ন্ত্রণে গাজী বাহিনীর দাপট
প্রকাশ কাল | বুধবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫, ৩:১০ অপরাহ্ন
রূপগঞ্জ, গাজী বাহিনী, সাইদুর রহমান, মুড়াপাড়া ইউনিয়ন, ইউপি দুর্নীতি, প্রকল্প লুট, ইউনিয়ন পরিষদ, নারায়ণগঞ্জ সংবাদ
ফাইল ছবি

রূপগঞ্জে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নিয়ন্ত্রণে গাজী বাহিনীর দাপট, লুটপাট-হামলা-হয়রানির অভিযোগে উত্তপ্ত এলাকা

নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ এখন কার্যত পরিণত হয়েছে সন্ত্রাসী গাজী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায়—এমন অভিযোগ করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক ইউপি সদস্য ও স্থানীয় ভুক্তভোগীরা। তাদের দাবি, ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান উন্নয়ন প্রকল্পের নামে টিআর, কাবিখা, পিআইসি প্রকল্প, সড়ক সংস্কার ও সরকারি বরাদ্দের অর্থ লুটপাট করছেন। প্রতিবাদ করলেই তাকে সমর্থনকারী গাজী বাহিনী হামলা করছে এবং রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলায় জড়ানো হচ্ছে।


উন্নয়নের নামে দুর্নীতির মহোৎসব!

অভিযোগে জানা যায়, মুড়াপাড়া ইউনিয়নে রাস্তা, কালভার্ট, খাল খনন, মসজিদ-মাদ্রাসা উন্নয়নসহ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের নামে বরাদ্দের ৪০–৫০ শতাংশ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। ইউপি সদস্যরা জানিয়েছেন:

“উপজেলা থেকে প্রতি পিআইসি প্রকল্পে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ আসে। এর মধ্যে ১ লাখ টাকা সরাসরি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রেখে দেন। বাকি টাকা নিতে গেলেও ৫ হাজার টাকা সিকিউরিটি মানি দিতে হয়।”

তারা আরও বলেন, ইউনিয়নের সামনে একটি গেট নির্মাণ প্রকল্পে ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেখানো হয়, অথচ সেখানে আগে থেকেই দুটি পিলার দাঁড়ানো ছিল। কোথায় ব্যয় হলো এত অর্থ—এ প্রশ্নের জবাব নেই চেয়ারম্যানের কাছে। খাল পুনঃখনন প্রকল্পে ৫ লাখ টাকা বিল তুলতে চেষ্টা করা হলেও কাজের অগ্রগতি না থাকায় সাব-ইঞ্জিনিয়ার মফিজুল ইসলাম বিল দিতে অস্বীকৃতি জানান।


ইউপি সদস্যদের ওপর হামলা-মামলা, প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ

ইউপি সদস্যদের অভিযোগ—চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে কথা বললেই তার লোকজন হামলা চালায়। এরপর উল্টো সদস্যদের বিরুদ্ধেই মামলা দেওয়া হয়।

এক সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন:

“গণঅভ্যুত্থানের পর প্রশাসন পরিবর্তন হলেও মুড়াপাড়া ইউনিয়নে আগের মতোই সন্ত্রাস ও লুটপাট চলছে। সাইদুর রহমান নিজে একাধিক মামলার ১৭ নম্বর আসামি হয়েও দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আইন যেন তার কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে।”


গাজী পরিবারের প্রভাব ও রাজনৈতিক ছত্রছায়া

স্থানীয়দের দাবি, সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর রাজনৈতিক প্রশ্রয়ের ফলেই মুড়াপাড়ায় গাজী বাহিনীর প্রভাব স্থায়ী হয়েছে। চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান দীর্ঘদিন গাজীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। যদিও বর্তমানে তিনি বিএনপির একজন বড় নেতার ছত্রছায়ায় কাজ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে যেই ক্ষমতায় থাকে, গাজী বাহিনীর প্রভাব অটুট থাকে


উন্নয়ন বঞ্চিত সাধারণ মানুষ

এলাকার সাধারণ মানুষের অভিযোগ, ইউনিয়নের ভাঙা রাস্তা, ড্রেনেজ সমস্যা, স্কুল-কলেজে অনিয়ম—সবকিছু উপেক্ষিত হচ্ছে। চেয়ারম্যান বেশি লাভবান হওয়ার জন্য ভালো রাস্তার ওপর সিসি ঢালাই করে অর্থ আত্মসাৎ করছেন। ভুক্তভোগী গ্রামবাসীরা জানান:

“এগুলো উন্নয়ন না, এগুলো টাকা মারার প্রজেক্ট। সাধারণ মানুষ কিছুই পাচ্ছে না।”


তদন্ত দাবি ও প্রশাসনের নীরবতা

ভুক্তভোগীরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও), জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট তদন্ত সংস্থার কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করলেও কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন। তারা অবিলম্বে দুর্নীতি তদন্ত, গাজী বাহিনীর সন্ত্রাস বন্ধ এবং ইউপি সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

এই পাতার আরো খবর
Our Like Page