মির্জা ফখরুল: জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট অপ্রয়োজনীয় ও অযৌক্তিক
ঢাকা, ৩০ অক্টোবর ২০২৫: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংবিধান সংশোধনের জন্য জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করার এখতিয়ার বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। তিনি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন করা অযৌক্তিক, অপ্রয়োজনীয় ও অবিবেচনাপ্রসূত।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত স্থায়ী কমিটির সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব মন্তব্য করেন। সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয় বুধবার রাতের স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সংবিধান সংশোধনের জন্য যে বাস্তবায়ন আদেশের খসড়া প্রস্তাবিত হয়েছে, তাতে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত বা ভিন্নমত (নোট অব ডিসেন্ট) উল্লেখ করা হয়নি। তিনি বলেন, “ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব একপেশে, যা জাতির ওপর জবরদস্তিমূলকভাবে চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ফলে দীর্ঘ আলোচনার সময় ও সম্পদ ব্যর্থ ও প্রহসনমূলকভাবে ব্যয় হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, প্রস্তাবিত বাস্তবায়ন আদেশে জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সদস্যদের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠনের কথা বলা হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার শুধুমাত্র জাতীয় সংসদ ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আয়োজন করা; সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠনের দায়িত্ব নেই।
গণভোট সম্পর্কেও মির্জা ফখরুল মন্তব্য করেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনের ঘোষণা ইতিমধ্যে এসেছে। সে ক্ষেত্রে নির্বাচনের আগে প্রস্তাবিত গণভোট আয়োজন সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল হবে। তিনি বলেন, “জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে গণভোট আয়োজন করা বেশি যৌক্তিক এবং কার্যকর।”
বিএনপির মহাসচিব শেষবারে বলেন, সরকার যে সুপারিশগুলো গ্রহণ করতে চাচ্ছে, তা কেবল দেশকে বিভক্ত করবে। জাতীয় ঐক্য বজায় রাখা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য হবে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন; তাদের মধ্যে ছিলেন নজরুল ইসলাম খান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, সেলিম রহমান ও সালাউদ্দিন আহমদ।


