একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার দায়ে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার আহ্বান আলালের
ঢাকা, ১ নভেম্বর ২০২৫:
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার দায়ে জামায়াতে ইসলামিকে নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আর কোনো প্রতারণা জনগণ দেখতে চায় না।
শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে আলাল এ মন্তব্য করেন।
“জামায়াত রূপ বদলাতে শুরু করেছে”
বিএনপি নেতা আলাল বলেন,
“জামায়াত এখন রূপ বদলাতে শুরু করেছে। তারা হিন্দু সম্প্রদায়কে নিয়ে সমাবেশ করছে, যাতে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। বিএনপি এখন এমন এক অর্জুন গাছের ছালের মতো—যার প্রয়োজন শেষ হলে সবাই কেটে নিয়ে যায়।”
তিনি অভিযোগ করেন, জামায়াত অতীতেও বিভিন্ন সময়ে তৎকালীন সরকারের কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছে।
“জামায়াতের অনেক শীর্ষ নেতা একসময় জাসদ ও গলাকাটা পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিল। ৫ আগস্টের পর থেকে শিবিরের অনেক সদস্য ছাত্রলীগের ভেতর থেকে বের হয়েছে, এখন তারা বলছে—তারা সবসময় প্রকাশ্যেই ছিল,” বলেন তিনি।
“বহুরূপীদের খপ্পরে দেশ”
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলাল বলেন,
“বাংলাদেশ এখন বহুরূপীদের খপ্পরে পড়েছে। প্রতিটি দল ও সংগঠনে ভেতর থেকে বিভাজন তৈরি করে একটি মহল দেশকে দুর্বল করে দিচ্ছে। বিএনপির এখন করণীয় ধৈর্য ধরে সময়ের অপেক্ষা করা।”
“জামায়াত নিষিদ্ধের দাবি”
আলাল বলেন,
“একাত্তরের হত্যাযজ্ঞে জড়িত থাকার দায়ে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হোক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার প্রশ্নে জনগণ আর প্রতারণা দেখতে চায় না। দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি আমাদের দায় রয়েছে—তাদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে।”
আলোচনা সভায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, জামায়াত ইসলামির অতীত ভূমিকা ও বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান নতুন করে মূল্যায়ন করা দরকার, যাতে জাতীয় ঐক্য বিনির্মাণের পথে বাধা সৃষ্টি না হয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আলালের এই বক্তব্য বিএনপির ভেতরে একটি নতুন অবস্থানকে ইঙ্গিত করে, যা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি থেকে নিজেদের দূরে রাখার প্রয়াস হতে পারে।


