
মনে হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী কোকা-কোলা বয়কটের একটি নতুন ঢেউ শুরু হয়েছে, যা এখন ইউরোপের দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ছে। তবে এর কারণগুলো বেশ কয়েকটি এবং অঞ্চলভেদে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে।
ডেনমার্কে কোকা-কোলা বয়কট হওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে জানা যাচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড কেনার আগ্রহ এবং ডেনমার্ককে দুর্বল মিত্র হিসেবে উল্লেখ করার মতো রাজনৈতিক মন্তব্য। এর জের ধরে ডেনমার্কের মানুষজন আমেরিকান ব্র্যান্ডের পণ্য বয়কট করছেন, যার মধ্যে কোকা-কোলাও রয়েছে। কার্লসবার্গ, ডেনমার্কে কোকা-কোলার বোতলজাতকারী কোম্পানি, জানিয়েছে যে ডেনমার্কে তাদের কোকা-কোলার বিক্রি সামান্য কমেছে।
অন্যদিকে, ফ্রান্সেও কোকা-কোলা সহ অন্যান্য আমেরিকান ব্র্যান্ড যেমন ম্যাকডোনাল্ডস ও টেসলার বিরুদ্ধে বয়কটের ডাক উঠেছে। এর কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে তার নেওয়া কিছু পদক্ষেপের প্রতিবাদের অংশ হিসেবে এই বয়কট শুরু হয়েছে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় এক তৃতীয়াংশ ফরাসি নাগরিক আমেরিকান পণ্য বয়কট করছেন।
এছাড়াও, একটি বিষয় উল্লেখ করা যায় যে, বেশ কিছুদিন ধরে ইসরায়েলের সাথে কোকা-কোলার ব্যবসায়িক সম্পর্ক এবং ফিলিস্তিনের প্রতি তাদের নীতির কারণে মধ্যপ্রাচ্য এবং অন্যান্য কিছু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে কোকা-কোলা বয়কটের সম্মুখীন হয়েছে। এই কারণে কোম্পানির বিক্রিও কিছুটা কমেছে বলে জানা যায়।
সুতরাং, ইউরোপের দেশগুলোতে কোকা-কোলা বয়কটের এই নতুন প্রবণতার পেছনে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং আন্তর্জাতিক নীতি দুটোই কাজ করছে বলে মনে করা যায়।