মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৩৮ অপরাহ্ন
ব্রেকিংনিউজ-
চাঁদাবাজ ও খুনিদের বাংলার ক্ষমতাসীটেও আর দেখতে চাই না: রেজাউল করীম বিএনপির নিশ্চিত জয়ের প্রভাবেই ভোট বানচালের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে: বেবী নাজনীন আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই সবসময় চলতেই থাকবে: হাদি নারীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়তে উমামা ফাতেমা দিয়েছেন একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি ‘ফ্যাসিস্ট পতনের পর তারেক রহমানকে সব দলই মাস্টারমাইন্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে’: সেলিম রেজা নুরের ওপর হামলার ঘটনায় যদি সরকার কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে তাদের পিঠের চামড়া থাকবে না: ইশরাকের হুঁশিয়ারি চীনের বৃহত্তম সামরিক মহড়ায় একই মঞ্চে উপস্থিত শি জিনপিং, পুতিন ও কিম জং উন আন্তর্জাতিক মান অনুসারে উন্নীত করার লক্ষ্যে বায়তুল মোকাররম মসজিদ সংস্কার ও আধুনিকায়নের পথে দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার দায়িত্ব বিএনপির হাতে নিরাপদ: ডা. শাহাদাত নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক, প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি উঠেছে
Headline
Wellcome to our website...
হামাসকে দেয়া কথা রাখলো না যুক্তরাষ্ট্র
প্রকাশ কাল | রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫, ৮:১২ পূর্বাহ্ন

হামাসকে দেয়া কথা রাখলো না যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন জিম্মি আলেক্সান্ডারের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় ত্রাণ প্রবেশের সুযোগ মিলবে, আর তা দু’দিনের মধ্যেই। হামাসকে ব্যক্তিগতভাবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ। তবে আলেক্সান্ডার ছাড়া পাওয়ার এক সপ্তাহ পরও বাস্তবায়ন হয়নি অঙ্গীকার। এমন দাবি ফিলিস্তিনি সংগঠনটির শীর্ষ নেতা বাসেম নাইমের। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ধোকা দেয়ার অভিযোগ করেন তিনি।

হামাসের কাছে জিম্মি সবশেষ মার্কিনী আলেক্সান্ডারের মুক্তির জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল দরকষাকষি। অবশেষে গত সোমবার মুক্তি দেয়া হয় ওই তরুণকে।

মার্কিন গণমাধ্যম ড্রপ সাইটকে দেয়া সাক্ষাৎকারে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য বাসেম নাইম অভিযোগ করেন,আলেক্সান্ডারের মুক্তির জন্য ধোকার আশ্রয় নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ সরাসরি প্রস্তাব দিয়েছিলেন, মার্কিন জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে গাজায় অবরোধ তুলে নেয়া হবে এবং দু’দিনের মধ্যেই ত্রাণ প্রবেশ করবে।

বলা হয়েছিল, বিষয়টি নিশ্চিতে ইসরায়েলকে বাধ্য করবে ওয়াশিংটন। এছাড়াও উইটকফ আশ্বাস দেন, আলেক্সান্ডারের মুক্তির পরই অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাবেন ট্রাম্প। উদ্যোগ নেবেন স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আলোচনার জন্য। তবে এক সপ্তাহ পরও এসব প্রতিশ্রুতি নিয়ে টু শব্দটি করছে না মার্কিন প্রশাসন।

বাসেম নাইম বলেন, চুক্তিটি ছিল, আলেক্সান্ডারকে মুক্তি দিলে, ইসরায়েলকে দু’দিনের মধ্যে সীমান্ত খুলতে বাধ্য করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবং গাজায় ত্রাণ প্রবেশ করবে। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান এবং স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধে আলোচনার ব্যবস্থাও করবেন। কিন্তু তিনি এগুলোর কিছুই করেননি। তারা কেবল চুক্তি লঙ্ঘনই নয়, এটি ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করেছেন।

গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি ইস্যুতে চুক্তির লক্ষ্যে দেড় বছর ধরেই নানা চেষ্টা তদবির চলছে। বারবারই সে প্রচেষ্টায় পানি ঢেলেছে ইসরায়েল। বহু প্রতীক্ষা আর প্রাণহানির পর গত জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতি হলেও, ১৮ মার্চ চুক্তি লঙ্ঘন করে আবার গাজায় তাণ্ডব শুরু করে নেতানিয়াহু বাহিনী।

এমন পরিস্থিতিতেই যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় কাতারে আবারও পরোক্ষ আলোচনা শুরু হয়েছে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে। যদিও অঙ্গীকার ভঙ্গের জেরে ওয়াশিংটনের ওপর হামাসের অনাস্থার বিষয়টি স্পষ্ট।

এই পাতার আরো খবর
Our Like Page