
ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যেই ইয়েমেন থেকেও ইসরায়েলের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এবং ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, শনিবার (১৪ জুন, ২০২৫) রাতে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতি গোষ্ঠী এই হামলা চালিয়েছে।
এই হামলার বিষয়ে যা জানা যাচ্ছে:
* হামলার সময় ও স্থান: শুক্রবার ইসরায়েল ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর পর শনিবার রাতে ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। ইসরায়েলের হেবরন শহরে (অধিকৃত পশ্চিম তীরে অবস্থিত) এই ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে বলে জানা গেছে। তেল আবিব এবং জেরুজালেমেও সতর্কতামূলক সাইরেন বেজেছে।
* আক্রমণকারী গোষ্ঠী: টাইমস অব ইসরায়েলসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম যদিও সুনির্দিষ্টভাবে কোনো গোষ্ঠীর নাম উল্লেখ করেনি, তবে ধারণা করা হচ্ছে এটি ইরান সমর্থিত হুতি গোষ্ঠী দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। হুতিরা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে।
* ক্ষয়ক্ষতি: ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারজেৎ স্থানীয় মেডিকেল কর্মীর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তিনজন ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে। ইসরায়েল দাবি করেছে যে তারা বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।
* ক্রমবর্ধমান সংঘাত: এই হামলা মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। একদিকে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সরাসরি সংঘাত চলছে, অন্যদিকে ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠীও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি হামলায় অংশ নিচ্ছে। এটি সংঘাতের আঞ্চলিক বিস্তারের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে।
সামগ্রিকভাবে, ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের পাশাপাশি ইয়েমেনের হুতি গোষ্ঠীর এই আক্রমণ মধ্যপ্রাচ্যে একটি বহুপাক্ষিক যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি করেছে, যা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য উদ্বেগের কারণ।