
ইসরায়েলি নিরাপত্তা সংস্থাগুলো সতর্ক করে দিয়েছে যে ইরান ইসরায়েলের ব্যক্তিগত সিসি ক্যামেরা হ্যাক করে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করছে। হামাস এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার ব্যবহৃত কৌশলের মতোই এই সাইবার হামলা চালানো হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য হলো ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের স্থানগুলো মূল্যায়ন করা এবং হামলার নির্ভুলতা বৃদ্ধি করা। এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের নাগরিকদের তাদের ডিভাইস সুরক্ষিত রাখতে জরুরি সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলের ন্যাশনাল সাইবার ডিরেক্টরেটের সাবেক উপ-মহাপরিচালক রাফায়েল ফ্রাঙ্কো একটি সতর্কবার্তা জারি করেছেন যে, “আপনার বাড়ির নজরদারি ক্যামেরা বন্ধ করে দিন অথবা পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।” তিনি বলেন যে গত কয়েকদিন ধরে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের স্থানগুলো বুঝতে এবং তাদের নির্ভুলতা উন্নত করতে ক্যামেরার সাথে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করছে। ইসরায়েল ন্যাশনাল সাইবার ডিরেক্টরেটও নিশ্চিত করেছে যে ইরানের যুদ্ধ পরিকল্পনার জন্য ইন্টারনেট-সংযুক্ত ক্যামেরাগুলোকে লক্ষ্য করে সাইবার হামলার বৃদ্ধি ঘটেছে।
এই ধরনের হ্যাকিংয়ের ঘটনা নতুন নয়। ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসও ইসরায়েলে তাদের আক্রমণের আগে ব্যক্তিগত ক্যামেরা ব্যবহার করে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করেছিল। সেই সময় হাজার হাজার সরকারি ও বেসরকারি ক্যামেরা হ্যাক করা হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক ক্যামেরারই দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে, যেমন ডিফল্ট পাসওয়ার্ড বা পুরোনো সফটওয়্যার। ব্যবহারকারীরা প্রায়শই কারখানার সেটিংস পরিবর্তন করেন না বা টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন-এর মতো মৌলিক সুরক্ষা ব্যবস্থা সক্ষম করেন না। কিছু ডিভাইস এমনকি লাইভ ফুটেজ অনলাইনে স্ট্রিম করে, যা হ্যাকারদের জন্য সহজে অ্যাক্সেসযোগ্য করে তোলে।
এই হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে, ইসরায়েলি সরকার নাগরিকদের তাদের ডিভাইসের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেছে এবং সংবেদনশীল এলাকা দেখানো ক্যামেরা (ট্রাফিক ও বাড়ির সিস্টেম সহ) দূরবর্তীভাবে বন্ধ করার অনুমতিও দিয়েছে।