
বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু জানিয়েছেন, জুলাই আন্দোলনে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন, এবং আহত হয়েছেন হাজার হাজার। তিনি বলেন, বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদল এই হতাহতের নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে, যা এখনো অন্য কোনো পক্ষ প্রকাশ করেনি। আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বুধবার (১৬ জুলাই) টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে জেলা ছাত্রদল আয়োজিত “জুলাই-আগস্টের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণসভা”-য় তিনি এসব কথা বলেন।
টুকু বলেন, “চরমোনাই পীরকে একসময় আওয়ামী লীগ দাঁত ভেঙে দিয়েছিল। অথচ এখন তিনিই বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলছেন। এই চরমোনাই পীর পতিত স্বৈরাচার সরকারের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশকে আগে সঠিক পথে এগিয়ে নিতে হবে। দেশের মানুষ বিএনপির পাশে রয়েছে। নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি তারেক রহমানের ভুল নয়।”
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে টুকু বলেন, “আপনারা যদি সত্যিই সাহসী হন, তাহলে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন—দেখবেন জনগণ বিএনপিকে ভোট দিয়ে জয়ী করবে। শেখ হাসিনা যেমন ভোট দিতে ভয় পেতেন, আপনাদের ক্ষেত্রেও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। আপনারাও জনগণকে ভয় পান। অথচ যখনই জনগণ ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে, বিএনপি-ই জয়ী হয়েছে।”
গোপালগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনাতেও নিন্দা জানান তিনি। এ বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একটি বিবৃতি দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক দূর্জয় হোড় শুভ এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সদস্য সচিব এম এ বাতেন। এতে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুর রহমান লিটন, যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার রাশেদুল আলম রাশেদ এবং শহীদ মারুফের মা মোর্শেদা বেগমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।