
বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির বিশেষ সহকারী ইশরাক হোসেন বলেছেন, “নতুন বাংলাদেশে আমরা হিংসা-বিদ্বেষ ও হিংসাত্মক রাজনীতি বাদ দিয়ে সুন্দর ও গঠনমূলক রাজনীতির পথ অনুসরণ করবো, যেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই একসাথে সহাবস্থানে বসবাস করবে। এছাড়াও, দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের ক্ষমতা আমরা জনগণের হাতে তুলে দিব। ভোটের মাধ্যমে যে কোনো রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবে, তাকে আমরা সম্মান জানাব।”
শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক রোডে ‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে’ শিরোনামে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আয়োজন করা এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ইশরাক হোসেন আরও বলেন, “আজকের সরকার ও তাদের নতুন রাজনৈতিক দল হিংসা-বিদ্বেষ ও অপরাজনীতির পথ থেকে বেরিয়ে নতুন রাজনীতি ও নতুন বাংলাদেশের দিকে মনোযোগী হোক। ভিন্ন দলের সিনিয়র নেতাদের প্রতি কটূক্তি বন্ধ করা উচিত, কারণ ছাত্র-জনতা জীবন দিয়ে বাংলাদেশকে মুক্ত করেছেন, অপপ্রচারে নয়।”
তিনি যোগ করেন, “বাংলাদেশ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব, এবং জনগণের ভোটাধিকারের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য মুক্ত হয়। আমরা সর্বদা এই লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, ইনশাআল্লাহ।”
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু এবং সঞ্চালনা করেন সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিন। এছাড়া বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক হারুনুর রশীদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবু তালেব, রফিকুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম, যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম এবং সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী প্রমুখ।