রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৫৩ অপরাহ্ন
ব্রেকিংনিউজ-
চাঁদাবাজ ও খুনিদের বাংলার ক্ষমতাসীটেও আর দেখতে চাই না: রেজাউল করীম বিএনপির নিশ্চিত জয়ের প্রভাবেই ভোট বানচালের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে: বেবী নাজনীন আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই সবসময় চলতেই থাকবে: হাদি নারীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়তে উমামা ফাতেমা দিয়েছেন একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি ‘ফ্যাসিস্ট পতনের পর তারেক রহমানকে সব দলই মাস্টারমাইন্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে’: সেলিম রেজা নুরের ওপর হামলার ঘটনায় যদি সরকার কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে তাদের পিঠের চামড়া থাকবে না: ইশরাকের হুঁশিয়ারি চীনের বৃহত্তম সামরিক মহড়ায় একই মঞ্চে উপস্থিত শি জিনপিং, পুতিন ও কিম জং উন আন্তর্জাতিক মান অনুসারে উন্নীত করার লক্ষ্যে বায়তুল মোকাররম মসজিদ সংস্কার ও আধুনিকায়নের পথে দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার দায়িত্ব বিএনপির হাতে নিরাপদ: ডা. শাহাদাত নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক, প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি উঠেছে
Headline
Wellcome to our website...
প্রয়োজনে আরও ১৭ বছর আন্দোলন চালিয়ে যাব: মির্জা আব্বাস।
প্রকাশ কাল | শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৪:০১ পূর্বাহ্ন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, “বিএনপি ১৭ বছর ধরে আন্দোলন করে আসছে। প্রয়োজন হলে আমরা আরও ১৭ বছর আন্দোলন করব।” শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সড়কে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনুর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদ, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, মীর আলী নেওয়াজ, ইশরাক হোসেন, দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক লিটন মাহমুদ, নবী উল্লাহ নবীসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ।

মির্জা আব্বাস বলেন, “কিছু কিছু নেতা বিএনপির নেতাদের কটাক্ষ করছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই ৫ আগস্টের আগে কখনো মায়ের মুখ দেখেননি। অনেকে প্রশ্ন করেন, ১৭ বছর কী করছিলাম? আমি বলব, ১৭ বছর জেলে থেকেছি, আন্দোলন করেছি, রাস্তায় লড়াই করেছি। একদিনে শেখ হাসিনার পতন হয়নি।”

তিনি আরও বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সরকার’ কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই সরকার থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত পচন ধরেছে। এমনকি মনে হয়, এই সরকার এনসিপির নিয়ন্ত্রণাধীন।”

সমাবেশে উপস্থিত লোকজনের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, “আপনারা দেখেন, তারা যখন যেখানে যান, সরকারি প্রটোকল, পুলিশ, বিডিআর, আর্মির গার্ডস ও সরকারি যানবাহন পান। কিন্তু আমরা বহু জায়গায় গেলেও কখনো এসব পাইনি। আমি তো মন্ত্রী ও ঢাকা মেয়র থেকেছি, তবুও সরকারি প্রটোকল পাইনি।”

তিনি বলেন, “এই সরকারের ১০-১১ মাসের বেশি সময় হয়ে গেলেও স্বৈরাচারদের কাউকে বিচার করা হয়নি। হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা হয়নি, অনেকই দেশের বাইরে পালিয়ে গেছে। আপনারা বিচার করছেন না। ১০ মাসে একজন গর্ভবতী মা শিশুর জন্ম দেন, আর আপনাদের মতো সরকার শহীদদের রক্তের বিনিময়ে কিছুই করতে পারেনি।”

মির্জা আব্বাস আরও বলেন, “অনেকে টাকার লোভে শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত অধিকার পান করছে। শহীদ পরিবারের সদস্যরা এখনও সরকারের সহায়তা পাচ্ছে না, এ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।”

তিনি বলেন, “নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি চলছে, কিন্তু আমরা শুরু থেকেই নির্বাচন হওয়ার কথা বলেছি। নির্বাচন ছাড়া দেশ কিভাবে চলবে? আমি বুঝি না এত গড়িমসি কেন। ‘জাস্টিস ডিলেইড, জাস্টিস ডিনাইড’ — অর্থাৎ বিচার যদি দেরি হয় তবে সঠিক বিচার হয় না। আর দেরি করা যাবে না।”

মির্জা আব্বাস বলেন, “আমি এখনও মনে করি, নির্বাচন সুষ্ঠু না করার জন্য তারা নানা প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। তবে বিএনপি ১৭ বছর আন্দোলন করেছে, প্রয়োজন হলে আরও ১৭ বছর করবে। অবশ্যই দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে।”

সমাবেশে তিনি নির্বাচন নিয়ে যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

এই পাতার আরো খবর
Our Like Page