
ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, তারা তেলআবিবের উপশহরে অবস্থিত বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে ‘প্যালেস্টাইন-২’ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে একটি বিশেষ অভিযান চালিয়েছে। এতে বিমানবন্দরটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় এবং লাখ লাখ ইসরাইলি আতঙ্কিত হয়ে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে বাধ্য হয়।
ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি রোববার (১৭ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, বিমানবন্দরে চালানো এই অভিযান সম্পূর্ণ সফল হয়েছে। তিনি বলেন, “এই হামলার ফলে লাখ লাখ জায়নিস্ট নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে পালাতে বাধ্য হয়েছে এবং সব ফ্লাইট স্থগিত হয়েছে।”
জেনারেল সারি জানান, “এই অভিযান চালানো হয়েছে নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের সহায়তার জন্য এবং গাজার বাসিন্দাদের ওপর গণহত্যা ও অনাহারের মতো অপরাধের প্রতিক্রিয়ায়। পাশাপাশি এটি আমাদের দেশের ওপর শত্রুর আগ্রাসনের জবাব।”
তিনি আরও বলেন, “গাজায় গত দুই বছর ধরে যা ঘটছে, তা প্রমাণ করে ফিলিস্তিনের ভাইদের রক্ত এবং আরব ও মুসলিম বিশ্বের রক্ত ইসরাইলি শত্রুর হাতে ঝরে যাচ্ছে।” ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী ইসলামি বিশ্বের নীরবতার তীব্র সমালোচনা করে উল্লেখ করেছে, গাজার জনগণের ওপর গণহত্যা, অবরোধ এবং অনাহারের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।
জেনারেল সারি যোগ করেন, “ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি ধর্মীয়, নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে, যতক্ষণ না যুদ্ধ বন্ধ হয় এবং গাজার অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।”