
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, মাত্র এক বছরেই তারা এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যা হাসিনা ১৬ বছরে করেছিলেন। সামনে তারা আরও ভয়াবহ অবস্থার দিকে দেশকে নিয়ে যেতে পারে। তাই তাদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগকেও রাজনৈতিক পরিসরে রাখতে হবে—এটাই অনেকের উপলব্ধি।
সম্প্রতি এক টেলিভিশন টক শোতে অংশ নিয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন। নুরুল হক নুর বলেন, “কিছুদিন আগে ব্র্যাকের বিআইজিডির এক জরিপে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগের সমর্থন ৭ শতাংশে নেমে এসেছে। এর মানে হলো ধীরে ধীরে এমন একটি ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে, যাতে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা ১০ থেকে ১৫ শতাংশ দেখানো যায়। প্রশ্ন হলো, এই সমর্থন দেখানো বাদ দিয়ে কীভাবে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব?”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের অর্থনীতি মূলত পশ্চিমভিত্তিক—আমরা যুক্তরাষ্ট্রে ১০ বিলিয়ন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে ১৩ বিলিয়ন ডলারের রফতানি করি। সেক্ষেত্রে বিদেশিরা তখন চাপ সৃষ্টি করবে যে, যদি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি না করা হয় তবে তারা পণ্য কেনা কমিয়ে দেবে। ফলে অর্থনীতি টিকিয়ে রাখতে এবং দেশ চালাতে হলে ড. ইউনূস কিংবা অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের আওতায় আওয়ামী লীগকে নিয়েই নির্বাচন করতে হতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতি সামনে তৈরি হতে পারে।”
নুর বলেন, “আমরা অনেকেই রাজনীতির ময়দানে সস্তা বক্তব্য দিচ্ছি। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—গত এক বছরে আমরা, যারা গণ-অভ্যুত্থানের দাবিদার বা অংশীদার ছিলাম, এমন কিছু করেছি যা আওয়ামী লীগের ফের রাজনীতিতে ফিরে আসার পথ খুলে দিয়েছে। এটিই বাস্তবতা।”