বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫২ অপরাহ্ন
ব্রেকিংনিউজ-
চাঁদাবাজ ও খুনিদের বাংলার ক্ষমতাসীটেও আর দেখতে চাই না: রেজাউল করীম বিএনপির নিশ্চিত জয়ের প্রভাবেই ভোট বানচালের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে: বেবী নাজনীন আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই সবসময় চলতেই থাকবে: হাদি নারীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়তে উমামা ফাতেমা দিয়েছেন একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি ‘ফ্যাসিস্ট পতনের পর তারেক রহমানকে সব দলই মাস্টারমাইন্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে’: সেলিম রেজা নুরের ওপর হামলার ঘটনায় যদি সরকার কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে তাদের পিঠের চামড়া থাকবে না: ইশরাকের হুঁশিয়ারি চীনের বৃহত্তম সামরিক মহড়ায় একই মঞ্চে উপস্থিত শি জিনপিং, পুতিন ও কিম জং উন আন্তর্জাতিক মান অনুসারে উন্নীত করার লক্ষ্যে বায়তুল মোকাররম মসজিদ সংস্কার ও আধুনিকায়নের পথে দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার দায়িত্ব বিএনপির হাতে নিরাপদ: ডা. শাহাদাত নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক, প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি উঠেছে
Headline
Wellcome to our website...
গুমের অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, বিচার প্রক্রিয়া চলবে ট্রাইব্যুনালে
প্রকাশ কাল | শুক্রবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৫, ৪:১২ পূর্বাহ্ন

‘গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়াকে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। প্রস্তাবিত এই আইনে গুমের অপরাধে মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং অভিযোগ গঠনের ১২০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করার বাধ্যবাধকতাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে খসড়াটি নীতিগতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, খসড়াটি নিয়ে আরও আলোচনা হবে এবং পরবর্তীতে আবারও পরিষদের সভায় উত্থাপন করে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে।

প্রেস সচিব বলেন, প্রস্তাবিত খসড়ায় গুমকে একটি চলমান অপরাধ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। এতে গোপন আটক কেন্দ্র স্থাপন বা ব্যবহারকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে গুম-সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্ত করার ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

অধ্যাদেশে আরও বলা হয়েছে—গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে। অভিযোগ গঠনের পর ১২০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করতে হবে। ভুক্তভোগী, তথ্য প্রদানকারী ও সাক্ষীদের অধিকার সুরক্ষা, ক্ষতিপূরণ এবং আইনগত সহায়তার নিশ্চয়তাও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

শফিকুল আলম জানান, খসড়াটি প্রণয়নে গুম-সংক্রান্ত কমিশনের সুপারিশ, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার মতামত এবং আইন ও বিচার বিভাগের আয়োজিত দুটি মতবিনিময় সভার পরামর্শ বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

এই পাতার আরো খবর
Our Like Page