শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিংনিউজ-
চাঁদাবাজ ও খুনিদের বাংলার ক্ষমতাসীটেও আর দেখতে চাই না: রেজাউল করীম বিএনপির নিশ্চিত জয়ের প্রভাবেই ভোট বানচালের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে: বেবী নাজনীন আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই সবসময় চলতেই থাকবে: হাদি নারীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়তে উমামা ফাতেমা দিয়েছেন একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি ‘ফ্যাসিস্ট পতনের পর তারেক রহমানকে সব দলই মাস্টারমাইন্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে’: সেলিম রেজা নুরের ওপর হামলার ঘটনায় যদি সরকার কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে তাদের পিঠের চামড়া থাকবে না: ইশরাকের হুঁশিয়ারি চীনের বৃহত্তম সামরিক মহড়ায় একই মঞ্চে উপস্থিত শি জিনপিং, পুতিন ও কিম জং উন আন্তর্জাতিক মান অনুসারে উন্নীত করার লক্ষ্যে বায়তুল মোকাররম মসজিদ সংস্কার ও আধুনিকায়নের পথে দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার দায়িত্ব বিএনপির হাতে নিরাপদ: ডা. শাহাদাত নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক, প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি উঠেছে
Headline
Wellcome to our website...
‘মৃত্যুর আগে অন্তত ছেলের হত্যার বিচার দেখতে চাই’
প্রকাশ কাল | শুক্রবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৫, ৪:২৬ পূর্বাহ্ন

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ সাক্ষ্য দেন। বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনালে তিনি জানান, প্রশাসনের লোকজন মৃতদেহ রাতেই দাফনের জন্য চাপ দিয়েছিল, কিন্তু পরিবার রাজি না হওয়ায় পরদিন সকালে দুইবার জানাজা শেষে আবু সাঈদের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

সাক্ষ্যে মকবুল হোসেন আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, “২০২৪ সালের ১৬ জুলাই দুপুরে আমার ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। খবর শুনে মাথায় আসমান ভেঙে পড়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে দেখেছি লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেওয়া হয়েছে। প্রথমে পুলিশ দেখাতে দেয়নি, পরে আমার ছেলে ও জামাইয়ের চাপে দেখানো হয়।”

মকবুল হোসেন বলেন, দাফনের সময় লাশের মাথার পেছন ও বুকে গুলির চিহ্ন ছিল। তিনি অভিযোগ করেন, তার ছেলেকে গুলি করেছে এএসআই আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র। হত্যার কয়েক দিন আগে ছাত্রলীগ নেতা পমেল বড়ুয়া ছেলের সঙ্গে সহিংস আচরণ করেছিলেন।

ছেলের প্রতি শোক এবং বিচার চাওয়ার দৃঢ় মনোভাব প্রকাশ করে মকবুল হোসেন বলেন, “আমার ছেলে শহীদ হয়েছে। আশা করব, আমার মৃত্যুর আগে যেন ছেলে হত্যার বিচার দেখতে পারি।” তিনি আরো বলেন, যারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত তাদের সঙ্গে ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাদেরও বিচার চান তিনি।

এরপর জেরা শুরু হয় আসামিপক্ষের আইনজীবীদের দ্বারা। একই দিনে সাক্ষ্য দেন এনটিভির জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এ কে এম মঈনুল হক। মামলার কার্যক্রম অসমাপ্ত রেখে ট্রাইব্যুনাল আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুলতবি রাখে।

এই পাতার আরো খবর
Our Like Page