
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র বিএনপির হাতেই নিরাপদ।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর বাকলিয়ায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত বাকলিয়া, চকবাজার ও কোতোয়ালি থানা যুবদলের আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপি বারবার লড়াই করেছে। গণতন্ত্রের একমাত্র মাধ্যম হলো নির্বাচন। বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য রাজনীতি করে। বিএনপির জন্মই গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা রক্ষার উদ্দেশ্যে।”
তিনি আরও বলেন, “দেশে যত সংস্কার হয়েছে, সবই বিএনপির নেতৃত্বে হয়েছে। বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না। সব গণতন্ত্রকামী মানুষকে সঙ্গে নিয়ে দেশ গঠন করতে চায়। নেতাকর্মীদের জনগণের কাছে গিয়ে মতামত নিতে হবে। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র বিএনপির হাতে নিরাপদ। তারেক রহমানের নেতৃত্বে ভবিষ্যতে ভোটের অধিকার রক্ষার সংগ্রামে বিএনপি জনগণের রায় নিয়েই ক্ষমতায় আসবে।”
ডা. শাহাদাত হোসেন উল্লেখ করেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে আজ পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়া বারবার জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন এবং কখনো আপোষ করেননি। তিনি নির্যাতন এবং জেল ভোগের মধ্যেও জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার আন্দোলন থেকে একচুলও পিছিয়ে আসেননি। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে তার আপোষহীন ভূমিকার কারণে বিএনপি জনগণের আস্থা অর্জন করে ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় আসে। গত ১৬ বছরে একমাত্র নেত্রী হিসেবে তাকে জোরপূর্বক জেলে প্রেরণ করা হয়েছে।
মেয়র আরও বলেন, “২০০৭ সালের এক এগারোর সময়, যখন শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন, তখন খালেদা জিয়া স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশের মানুষকে ফেলে বিদেশে যাব না। তার আপোষহীন অবস্থানের কারণে বিদেশি মহলের চাপ সত্ত্বেও মাইনাস টু ফর্মুলা কার্যকর করা যায়নি। এত নির্যাতনের পরও তিনি দেশ ছাড়েননি, কিন্তু স্বৈরশাসক হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।”
সভায় বাকলিয়া থানা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন লেদুর সভাপতিত্বে, যুবদল নেতা মো. সেলিম, মো. হাসান ও মো. সোহেলের পরিচালনায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর এবং বিশেষ আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।