রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্স ভবনের চারপাশে রোববার সকালেও ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য উদ্ধারকার্যকর্মীরা দুটি পাশ থেকে পানি ছিটিয়ে ঠাণ্ডা করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিমানবন্দরের সামনের অংশে কৌতূহলী মানুষের ভিড় থাকলেও ফ্লাইট চলাচল বর্তমানে স্বাভাবিক আছে। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা লিমা খানম জানান, “আগুন পুরোপুরি নেভানো হলেও ধোঁয়া নিরসনের কাজ অব্যাহত রয়েছে।”
ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার মো. মুহিদুল ইসলাম বলেন, নিরাপত্তার জন্য বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। এখনো কোনো মামলা হয়নি।
শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ১৩টি ফায়ার স্টেশন, ৩৭টি ইউনিট এবং সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও বিজিবির সহযোগিতায় সাত ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। রাত ৯টার দিকে বিমানবন্দর পুনরায় চালু হয়।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। আহ্বায়ক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পাটওয়ারী। সদস্য হিসেবে রয়েছেন এনবিআরের প্রথম সচিব, ঢাকা কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিবরা। কমিটিকে দ্রুত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকা কাস্টম হাউসের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। কমিটি ৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে। কমিটির দায়িত্বে রয়েছে অগ্নিকাণ্ডের কারণ নির্ণয়, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ, দায়ীদের শনাক্তকরণ এবং ভবিষ্যতে অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে সুপারিশ প্রণয়ন।


