অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এখন কয়েকটি ইসলামি দলের নেতারা নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে অভিযোগ করেছেন তরুণ ইসলামি বক্তা মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী।
সম্প্রতি এক পডকাস্টে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, “হেফাজত যদি সরাসরি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতো, তাও ভালো ছিল। তাহলে অন্তত এই দোটানায় থাকতে হতো না। হাটহাজারীর কিছু নেতাসহ হেফাজতের একটা অংশ এখনও রাজনীতিবিমুখ আছে। কিন্তু যে অংশটা এখন হেফাজত নিয়ন্ত্রণ করছে, তারা বিভিন্ন ইসলামি দলের নেতা— যেমন জমিয়ত, খেলাফত মজলিশ, নেজামে ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোট, খেলাফত আন্দোলন ইত্যাদি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত।”
তিনি বলেন, “এই কারণে এখন হেফাজতের নীতি ও দিকনির্দেশনা রাজনৈতিক দলের প্রভাবের মধ্যে চলে গেছে। ফলে সংগঠনটি তার মূল উদ্দেশ্য থেকে অনেকটা সরে এসেছে।”
হেফাজত কি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত হয়েছে—এমন প্রশ্নে রফিকুল মাদানী বলেন, “হেফাজত প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য এখন ব্যাহত। উত্থানের সময় যে প্রভাব ও শক্তি ছিল, সেটি আর নেই। একসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো প্রভাবশালী ব্যক্তিরাও হেফাজতের প্রতিক্রিয়া নিয়ে চিন্তা করতেন। কিন্তু এখন হেফাজতের আমির-মহাসচিবকেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হয়।”
তিনি দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, “হেফাজত হয়ে গেছে এখন ‘গরীবের বউ সবার ভাবী’র মতো’। জমিয়ত, খেলাফত মজলিশ, খেলাফত আন্দোলন, নেজামে ইসলাম—সবাই নিজেদের স্বার্থে হেফাজতকে ব্যবহার করছে। হেফাজতের অরাজনৈতিক আদর্শ অক্ষুণ্ণ রেখে পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। ইসলামবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডে সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানানোর যে শক্তি একসময় হেফাজতের ছিল, এখন তা আর নেই।”


