যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ অতীতের যেকোনো বিতর্কিত ঘটনার জন্য বিনা শর্তে ক্ষমা চেয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। বিস্তারিত দেখুন ডেস্ক রিপোর্টে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নির্বাচনকেন্দ্রিক আলোচনার মধ্যেই বড় ধরনের রাজনৈতিক বার্তা দিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান ইতিহাসের সংবেদনশীল অধ্যায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত উল্লেখ করে জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
“এই অ্যাপোলজি আমরা আগেও দিয়েছি। প্রফেসর গোলাম আজম, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী—তারাও ক্ষমা চেয়েছেন। আজ আবারও বলছি, ৪৭ থেকে ২০২৫ সালের ২২ অক্টোবর পর্যন্ত—আমাদের কারণে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে আমরা বিনা শর্তে ক্ষমা চাই।”
তিনি বলেন—মানুষ ভুল করতেই পারে। কিন্তু সেই ভুলের মাধ্যমে যদি জাতি, দেশের মানুষ অথবা কারও অনুভূতি আহত হয়, তবে ক্ষমা চাইতে ভয় পাওয়া ঠিক নয়।
“মানুষ হিসেবে ভুল হবেই। কিন্তু ভুল হলে তা স্বীকার করতে হবে। আর সেই ভুল যদি মুক্তিযুদ্ধসহ জাতীয় ইতিহাসকে স্পর্শ করে—তাহলে ক্ষমা চাওয়া জরুরি।”
এ সময় তিনি গণভোটের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন। বলেন—আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পিআরসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গণভোট প্রয়োজন।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে ডা. শফিকুর রহমান বলেন—জামায়াত সমতার ভিত্তিতে আঞ্চলিক সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়।
জামায়াতের এই ক্ষমা প্রার্থনা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে। কেউ বলছেন—এটি নির্বাচনের আগে কৌশলগত বক্তব্য, আবার কেউ দেখছেন এটিকে একটি রাজনৈতিক ইমেজ রিব্র্যান্ডিং প্রক্রিয়া হিসেবে।
জামায়াতের ক্ষমা প্রার্থনার পর দেশের ভেতরে-বাইরে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে এই ঘোষণা রাজনৈতিক বাস্তবতায় কতটা প্রভাব ফেলবে—তা এখন সময়ই বলে দেবে।


