নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্যে অস্বস্তিতে মানুষ
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন খুচরা বাজারে মুরগি ও মাছের দাম তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল থাকলেও সাধারণ ক্রেতার জন্য খুব একটা স্বস্তি নেই। নিত্যপণ্যের বেশিরভাগ পণ্যের দাম অপরিবর্তিত থাকায় পরিবারের দৈনন্দিন খরচ সামলানো ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর উত্তরা আজমপুর কাঁচাবাজার, মালিবাগ ও বাড্ডা এলাকার বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগির দাম সামান্য কমলেও সোনালি, দেশি ও লেয়ার মুরগির দাম আগের জায়গাতেই রয়েছে।
✅ মুরগির বাজারদর
প্রকার প্রতি কেজি দাম
ব্রয়লার ১৭০–১৮০ টাকা
লেয়ার ৩১০ টাকা
সোনালি ২৮০ টাকা
পাকিস্তানি ৩২০ টাকা
দেশি মুরগি ৬০০ টাকা
দেশি হাঁস ৫৫০–৬০০ টাকা
আজমপুর বাজারের বিক্রেতা রফিক বলেন, “গত সপ্তাহে ব্রয়লারের পাইকারি দাম ছিল ১৮০ টাকার ওপরে, এখন ১৫৫–১৬০ টাকায় এসেছে। তাই খুচরায় ১৭০–১৮০ টাকায় বিক্রি করছি।” তবে তিনি জানান খাবার, শ্রম ও পরিবহন খরচ না কমলে দাম আর কমবে না।
ক্রেতা আজম খান বলেন, “সোনালি বা দেশি মুরগি কিনতে গেলে একটা ছোট মুরগিই ৩৫০–৪০০ টাকা পড়ে। তাই মাঝারি আয়ের মানুষ এখন শুধু ব্রয়লারেই ভরসা করছেন।”
✅ মাছের বাজারদরও হাতের বাইরে
মাছের নাম প্রতি কেজি দাম
রুই ৩৫০–৪৫০
কাতল ৪০০–৪৫০
শিং ৫০০–৫৫০
মাগুর ৫০০
কৈ ২০০–২৫০
পাঙাশ ১৮০–২০০
তেলাপিয়া ১৫০–২৫০
বিক্রেতারা বলছেন, খামার পর্যায়ে মাছের দাম না কমায় খুচরা বাজারে কোনো পরিবর্তন আনা সম্ভব হচ্ছে না।
মালিবাগ বাজারের ক্রেতা দেলোয়ার বলেন, “এখন তো পাঙাশ আর ব্রয়লারের দামের মধ্যে তেমন পার্থক্য নেই। দুইটাই ১৮০ টাকার মধ্যে।”
✅ গরু-খাসির মাংসের দাম আগের মতোই
গরুর মাংস: ৭৫০–৮০০ টাকা
খাসি: ১০০০–১১০০ টাকা
✅ সার্বিক চিত্র
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, পরিবহন ব্যয়, খামার খরচ ও ডলার সংকট–—এই তিন কারণে বাজার স্বাভাবিক হচ্ছে না। পণ্যের সরবরাহ থাকলেও দাম কমছে না, ফলে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো ক্রমেই দুর্ভোগে পড়ছে।


