ঢাকা: সাংবাদিকদের জন্য বহুল প্রত্যাশিত ন্যূনতম বেতন কাঠামো আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বেতন কাঠামো পুনর্গঠন সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং এ বিষয়ে সরকার দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।
রোববার (তারিখ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের চলমান সংস্কার ও গণমাধ্যম নীতিমালা অগ্রগতির ওপর বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, “আমরা সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন কমপক্ষে নবম গ্রেডের কাছাকাছি রাখার প্রস্তাব নিয়ে কাজ করছি। আগামী সপ্তাহেই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে। দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকরা ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, এবার তার সমাধান হবে।”
তিনি আরও জানান, গণমাধ্যম খাতকে টিকিয়ে রাখতে নতুন অর্থনৈতিক কাঠামো প্রণয়ন করা হচ্ছে। বিজ্ঞাপনের হার পুনর্নির্ধারণ, প্রচারসংখ্যা যাচাইয়ের উদ্যোগ এবং অকার্যকর পত্রিকা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। “যে প্রতিষ্ঠান সাংবাদিকদের ন্যূনতম বেতন দিতে পারবে না, তাদের সরকারি বিজ্ঞাপন কমিয়ে দেওয়া হবে,” বলেন মাহফুজ আলম।
নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নে বাধা
নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “নোয়াবসহ কিছু পত্রিকা মালিক কাঠামোর বিরোধিতা করেছেন। আমরা তিন দফা বৈঠক করেছি কিন্তু তারা সম্মত হয়নি। তাই যারা নীতিমালা মানবে না, তারা প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবে না।”
সাংবাদিক সুরক্ষা আইন ও নীতিমালা সংস্কারের উদ্যোগ
অনুষ্ঠানে তথ্য উপদেষ্টা আরও জানান, “ওয়ান হাউজ, ওয়ান মিডিয়া পলিসি এবং সাংবাদিক সুরক্ষা আইন দ্রুত কেবিনেটে তোলা হবে। অনলাইন নিউজ পোর্টালের নীতিমালাও প্রায় চূড়ান্ত। যেসব কাগুজে পত্রিকা বাস্তবে প্রকাশিত হয় না, তাদের প্রকাশনা বাতিল করা হবে।”
টেলিভিশন চ্যানেলে স্বচ্ছতা আনার আশ্বাস
তিনি বলেন, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর লাইসেন্স ইস্যুতে স্বচ্ছতা আনা হবে। “আওয়ামী লীগঘনিষ্ঠ কিছু করপোরেট গ্রুপ লাইসেন্স নিয়ে বিদেশে লাভ নিয়ে যাচ্ছে—এমন অভিযোগ আমরা তদন্ত করছি,” জানান উপদেষ্টা।
ডিআরইউ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের দাবি তুলে ধরেন এবং দ্রুত ন্যূনতম বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের দাবি জানান।


