জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না। তফসিলে না থাকার কারণে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, স্ববিবেচনায় কমিশন অন্য প্রতীক নির্ধারণ করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবে।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশকালে আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, বিধিমালায় শাপলা প্রতীক না থাকায় এনসিপি শাপলা পাবে না। কমিশন স্ববিবেচনায় তাদের জন্য নতুন প্রতীক নির্ধারণ করবে। শাপলার প্রশ্নে নির্বাচন কমিশন আগের অবস্থানেই আছে।
এদিকে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, শাপলা প্রতীক না পেলে তারা রাস্তায় নামবে। তিনি বলেন, “আমরা আইনজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। শাপলাকে নির্বাচনি প্রতীক দেওয়ার কোনো আইনগত বাধা নেই। কিন্তু ইসি শাপলা দিচ্ছে না। তাদের যদি স্বাধীনতা না থাকে, আমরা নির্বাচনে তাদের ওপর আস্থা রাখতে পারব না।”
সারজিস আলম আরও বলেন, “শাপলা প্রতীক পেতে হলে এনসিপি রাজপথে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যেতে হবে। একই সাথে আমরা নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের আন্দোলনও চালাব।”
তফসিলের বাইরে থাকা কারণে নির্বাচন কমিশন স্ববিবেচনায় নতুন প্রতীক নির্ধারণের প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে। ইসি এখনও পর্যন্ত কোনো বিকল্প প্রস্তাব পাইনি। কমিশনের অবস্থান অনুযায়ী, এনসিপি শাপলা প্রতীক পাবার দাবিতে সরাসরি আন্দোলনে গেলে, কমিশন নতুন প্রতীক নির্ধারণের মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে।
এ ঘটনায় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ সংক্রান্ত উত্তেজনা বাড়তে পারে। এনসিপির পক্ষ থেকে যে সম্ভাব্য রাস্তায় নামার পরিকল্পনা রয়েছে, তা নির্বাচনের আগেই নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক থাকার জন্য প্ররোচিত করতে পারে।
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে, শাপলা প্রতীক না পেলেও এনসিপি নতুন প্রতীক পেয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি এবং আন্দোলনও নির্ধারণ করবে ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিস্থিতি।


