বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ক্ষমতায় গেলে নারীদের কর্মঘণ্টা কমানো হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেছেন, কিছু পক্ষ জামায়াতকে ভুলভাবে প্রচার করে যে নারীদের ঘরে তালা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। তিনি বলেছেন, “এতো তালা কেনার টাকা কোথায়?”
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে রোববার (২৬ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত এক নাগরিক সংবর্ধনায় তিনি এসব কথা বলেন। সংবর্ধনা আয়োজন করে কোয়ালিশন অব বাংলাদেশী আমেরিকানরা। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের মানুষ চাইছে, বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে জুলাই হত্যাকাণ্ডের দৃশ্যমান রায় দেখতে। ক্ষমতায় আসার পর সেই রায়গুলোর ন্যায্য সমাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ক্ষমতায় এলে দেশে বিনিয়োগের সুযোগ বৃদ্ধি করা হবে এবং অর্থনীতির গতিশীলতা আরও বাড়ানো হবে। নারীদের ক্ষেত্রে তিনি উল্লেখ করেন, মায়েরা সন্তান জন্ম দিচ্ছেন, দুধ পান করিয়ে লালন-পালন করছেন, আবার পেশাগত দায়িত্বও পালন করছেন। কিন্তু নারী ও পুরুষ উভয়ের ৮ ঘণ্টা কর্মদিবস নারীদের প্রতি অবিচার সৃষ্টি করছে।
তিনি বলেন, ক্ষমতায় এলে মায়েদের কর্মঘণ্টা কমিয়ে দেওয়া হবে। যদিও কত ঘণ্টা কমানো হবে তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেননি। তিনি বলেন, “৮ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে পাঁচ ঘণ্টা করা যায় কিনা, তা আমরা পর্যালোচনা করব।”
জামায়াতের এই ঘোষণার মাধ্যমে দলটি নারী শ্রমিকদের প্রাপ্য সুবিধা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। ডা. শফিকুর রহমান নারী কর্মীদের অবস্থা এবং পরিবারের দায়বোধকে বিবেচনায় নিয়ে এই সিদ্ধান্তের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ক্ষমতায় এলে নারীর কর্মঘণ্টা কমানোর বিষয়টি ভোটারদের মধ্যে বিশেষভাবে আলোচিত হতে পারে। নারীদের অধিকার, কর্মপরিবেশ এবং পেশাগত সুযোগ বৃদ্ধির বিষয়টি নির্বাচনের আগে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে উঠতে পারে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্থানীয় ও প্রবাসী বাংলাদেশীরা উপস্থিত ছিলেন। জামায়াতের এই বক্তব্য দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্কের জন্ম দিতে পারে। নারীর কর্মঘণ্টা কমানোর পাশাপাশি ক্ষমতায় এলে বিনিয়োগ ও বিচারিক রায় দ্রুত বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দলটি দিয়েছে।


