
বেশ কিছু নির্ভরযোগ্য সূত্রে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে সৈন্য সংকট দেখা দেওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে
এই সংকটের কারণগুলো বেশ জটিল এবং বহুবিধ:
* দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত: দীর্ঘ সময় ধরে চলা সংঘাতের কারণে নিয়মিত এবং রিজার্ভ সৈন্যদের মধ্যে ক্লান্তি দেখা দিয়েছে। অনেকেই দীর্ঘ সময় ধরে কর্মস্থলে বা পরিবার থেকে দূরে থাকার কারণে হতাশ হয়ে পড়েছেন। কিছু প্রতিবেদনে ৩০-৪০% রিজার্ভ সৈন্যের মধ্যে কর্মবিরতির খবরও পাওয়া গেছে।
* আল্ট্রা-অর্থোডক্স (হারেদিম) সম্প্রদায়ের নিয়োগে অনীহা: হারেদিম সম্প্রদায়ের একটি বড় অংশ ঐতিহাসিকভাবে সামরিক servicio এড়িয়ে চলে। এই বিষয়ে আইনি জটিলতা এবং জনমতের চাপ থাকা সত্ত্বেও, এই সম্প্রদায়ের মধ্যে নিয়োগের হার এখনও অনেক কম। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত ১০,০০০ নিয়োগের আদেশের মধ্যে মাত্র ১৭৭ জন হারেদিম সৈন্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন।
* প্রশিক্ষণবিহীন সৈন্য মোতায়েন: সৈন্য সংকটের কারণে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাদের এলিট ব্রিগেড গোলানি ও গিভাতির সৈন্যদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ছাড়াই গাজা উপত্যকায় মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে বলে খবর এসেছে।
* চিকিৎসা ও মনস্তাত্ত্বিক কারণ: গাজা যুদ্ধে বহু সৈন্য আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকের শারীরিক ও মানসিক আঘাত দীর্ঘস্থায়ী। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আহত ও পঙ্গু সৈন্যদের সংখ্যা প্রায় ৭৮,০০০। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সৈন্য মনস্তাত্ত্বিক trauma-য় ভুগছেন।
* রিজার্ভ সৈন্যদের অনিচ্ছা: রিজার্ভ সৈন্যদের মধ্যে অনেকেই দীর্ঘ সময় ধরে দায়িত্ব পালনের কারণে কর্মস্থলে এবং ব্যক্তিগত জীবনে সমস্যায় পড়েছেন। ফলে, অনেকেই আর রিজার্ভ ডিউটিতে যোগ দিতে অনিহা প্রকাশ করছেন। কিছু প্রতিবেদনে ৫০-৬০% পর্যন্ত রিজার্ভ সৈন্যের অনুপস্থিতির কথা বলা হয়েছে। এমনকি কিছু ইউনিট সামাজিক মাধ্যমে সৈন্য নিয়োগের চেষ্টা করছে।
* নতুন ব্রিগেড গঠন: সম্প্রতি নতুন একটি পদাতিক ব্রিগেড গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যার জন্য আরও কয়েক হাজার combat সৈন্যের প্রয়োজন, যা বর্তমান পরিস্থিতিতে একটি অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করেছে।
এই সৈন্য সংকট ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর উপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করেছে এবং এর ফলস্বরূপ কিছু সামরিক অভিযান ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেনাবাহিনীতে সৈন্য সংখ্যা বাড়ানোর জন্য বাধ্যতামূলক সামরিক চাকরির মেয়াদ বাড়ানো এবং অন্যান্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, তবে এই সমস্যা কত দ্রুত সমাধান হবে তা এখনও দেখার বিষয়।